মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন
কালের খবর রিপোর্ট : শেখ হাসিনাকে আমাদের মাঝে নিরাপদে বাঁচিয়ে রাখতে সবাইকে শপথ গ্রহন করতে হবে এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্মাদক মির্জা আজম। তিনি বলেন, চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকারী জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন। এভাবে আর কোন ষড়যন্ত্রের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ ও সজাগ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যেতে হবে, কারণ রাজাকার আল বদররা আমাদের শেখ হাসিনাকে ২০ বার হত্যার চেষ্টা করেছে যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু সেই রাজাকার আল বদরদের মদদ দেয় খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান। গতকাল বুধবার বিকালে রাজধানীর বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৯ নং ওয়ার্ড ও সকল ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে (২০২১) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানে আগত আওয়ামী লীগের নেতারা।
মির্জা আজম বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে স্বাধীনতা দিবস আছে কিন্তু বিজয় দিবস নেই। কিন্তু আমাদের বিজয় দিবস রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আমরা বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি। আর ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ ৭০ হাজার মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এ বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি যাদের ঋন কোনদিন পরিশোধ করা যাবেনা। তাই দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে অর্জিত আমাদের এ মহান স্বাধীনতার পর কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভুমিদস্যুদের দলে বা আওয়ামী লীগের ইউনিট কমিটিতে স্থান দেওয়া যাবেনা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, সংগঠনের মেরুদন্ড হচ্ছে ইউনিট। তাই ইউনিট কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিমিয়ে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি। তাই যে কেউ কমিটিতে আসতে পারবেনা। যারা মুক্তিযোদ্ধার চেতনার পক্ষে, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া ত্যাগী লোকেরাই ইউনিট কমিটিতে থাকবে। আর শেখ হাসিনা বলেছেন তৃনমূলে এভাবে যদি ত্যাগী ও হাইব্রিডমুক্ত ইউনিট কমিটি গঠন করা যায় তাহলে ২০৫০ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে কেউ কিছু করতে পারবেনা।
ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস। উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক এফ.এম. শরিফুল ইসলাম শরিফ, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খাঁন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী অংগসংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীরা।